জমিতে যেকোনো সবুজ উদ্ভিদ জন্মিয়ে কচি অবস্থায় চাষ করে মাটিতে মিশিয়ে যে সার প্রস্তুত করা হয় তাকে সবুজ সার বলে। ধইঞ্চা, গোমটর, বরবটি, শন, কলাই এসব ফসল দ্বারা এ সার তৈরি করা যায়।
১. প্রথমে এসব ফসলের যেকোনো একটি জমিতে চাষ করতে হবে। ফুল আসার আগে তা মই দিয়ে মাটির সাথে মেশাতে হবে।
২. তারপর আরও ৩-৪ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ওলটপালট করে মাটির সাথে ভালোভাবে মেশালে ২ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ পচে যায়।
৩. সবুজ সার যেখানে তৈরি হয় সেখানেই ব্যবহৃত হয়।
সবুজ সার হিসেবে ধইঞ্চা চাষ ও সার প্রস্তুতি
১. যেকোনো জমিতে ২/৩ টি চাষ দিতে হবে।
২. চাষকৃত জমিতে প্রতি শতকে ৭০ গ্রাম ফসফেট ও ৫০ গ্রাম পটাশ ছিটাতে হবে।
৩. তারপর প্রতি শতকে ২০০ গ্রাম করে ধইঞ্চা বীজ বপন করতে হবে।
৪. বীজ বপনের প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু করবে।
৫. এ সময় লাঙ্গলের সাহায্যে চাষ দিয়ে গাছগুলো মাটির নিচে ফেলতে হবে। গাছ লম্বা হলে কাস্তে বা দা দিয়ে কেটে ছোট করে জমি চাষ করতে হবে।
সবুজ সারের উপকারিতা: সবুজ সার ব্যবহারে-
১. মাটির উর্বরতা বাড়ে।
২. মাটিতে প্রচুর জৈব পদার্থ যোগ হয়।
৩. মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
৪. মাটিস্থ অণুজীবের কার্যাবলি বৃদ্ধি পায়।
৫. মাটিস্থ পুষ্টি উপাদান সংরক্ষিত হয়।
৬. মাটির জৈবিক পরিবেশ উন্নত হয়।
খৈল তৈরি: তেল বীজ হতে তেল বের করে নেওয়ার পর যে অংশ অবশিষ্ট থাকে তাকে খৈল বলে। সার ও গোখাদ্য হিসেবে খৈল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকম তেলবীজ থেকে বিভিন্ন রকমের খৈল পাওয়া যায়। যেমন- তুলা বীজের খৈল, সরিষার খৈল, বাদামের খৈল, তিলের খৈল, নিমের খৈল, তিসির খৈল ইত্যাদি। এ ধরনের সারে নাইট্রোজেন বেশি থাকে। এ সার ভালোভাবে গুঁড়া করে জমিতে ব্যবহার করতে হয়।
কাজ-১: শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে কিছু পরিমাণ কম্পোস্ট সার নিয়ে আসবেন। শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে ভাগ করে উক্ত সারগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাগান বা টবে তাদের দ্বারা প্রয়োগ করার ব্যবস্থা করবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষক প্রয়োগের নিয়মাবলি শিখিয়ে দিবেন। কাজ-২: শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে বিভক্ত করে পরিখা পদ্ধতিতে কম্পোস্ট তৈরির চিহ্নিত চিত্র ও কম্পোস্ট সারের ব্যবহার সম্পর্কিত একটি পোস্টার তৈরি করতে বলবেন। শিক্ষক সেগুলো মূল্যায়ন করবেন। |
Read more